দ্রুতগামী ট্রানজিট

মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার

১১ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে উদ্বোধন হওয়া মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার, বাংলাদেশের ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন। এটি প্রায় ১১.৮ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করেছে।

অবস্থান যাত্রাবাড়ী এবং গুলিস্তানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে
দৈর্ঘ্য ১১.৮ কিমি
অবস্থা চালু আছে
উদ্বোধন ১১ অক্টোবর, ২০১৩

সংক্ষিপ্ত বিবরণ

১১ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে উদ্বোধন হওয়া মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার, বাংলাদেশের ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন। এটি প্রায় ১১.৮ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করেছে, যার লক্ষ্য হল রাজধানীর দীর্ঘদিনের যানজট কমানো। এই চার-লেনের ফ্লাইওভারটি যানবাহনের মসৃণ চলাচল সহজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম জেলাগুলো থেকে আসা ট্র্যাফিকের জন্য।

প্রবেশ / বাহির হওয়ার পথ

ফ্লাইওভারে মোট আটটি প্রবেশ ও বাহির হওয়ার র‍্যাম্প রয়েছে, যা প্রধান সংযোগস্থলগুলোতে কৌশলগতভাবে স্থাপন করা হয়েছে, যাতে ট্র্যাফিকের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করা যায়। বিশেষ করে, ছয়টি প্রবেশপথ এবং সাতটি বাহির হওয়ার পথ রয়েছে যা যানবাহনের আগমন ও নির্গমন সহজ করে, যা বিলম্ব ও যানজট হ্রাস করে। ঢাকার উচ্চ ট্র্যাফিক ভলিউম পরিচালনার জন্য এই ডিজাইনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

টোল

ফ্লাইওভারটি একটি টোল সিস্টেমে পরিচালনা করা হয়, যেখানে যানবাহনের প্রকারভেদে টোলের হার ভিন্ন হয়। টোলের হার নিচে উল্লেখ করা হলো:

গাড়ির ধরন টোলের হার (BDT.)
ট্রেলার ২০০
ট্রাক ১৫০
বাস ১৫০
মিনিবাস ১০০
পিকআপ ৭৫
মাইক্রোবাস ৫০
জীপ ৪০
প্রাইভেট কার ৩৫

টোল ক্যালকুলেটর

পথচারীরা কোনো টোল ছাড়াই ফ্লাইওভারটি পার হতে পারে। টোল আদায়ের কাজটি অরিয়ন গ্রুপের দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে নগদ এবং ইলেক্ট্রনিক পেমেন্টের বিকল্প রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রি-পেইড স্মার্ট কার্ড এবং আরএফআইডি ট্যাগ, যা ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সহজ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। দৈনিক টোল আয়ের একটি অংশ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে বরাদ্দ করা হয়, যারা ২৪ বছর পর ফ্লাইওভারের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেবে।